গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল ও বিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলম (৬৯), তুরাগ থানা ৫৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম বাবু (৪৯), বংশাল থানা ৩৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ওয়ারেজ সিকদার (৪৮), তুরাগ থানা যুবলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহেদ আলম (৪০), যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য শহীদুল হক চৌধুরী রানা (৫৪), স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সম্প্রতি যাত্রাবাড়ী এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের সমন্বয়কারী জাহিদুল ইসলাম তুষার (৩০), এবং তুরাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি মো. রেজাউল করিম (৪৭)।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এসব নেতাদের। ডিবি-রমনা বিভাগের একটি টিম ধানমন্ডি এলাকা থেকে মো. জাফর আলমকে, ডিবি-মতিঝিল বিভাগের একটি টিম বংশাল এলাকা থেকে মো. শাহেদ আলমকে, ডিবি-লালবাগ বিভাগের একটি টিম বংশাল থেকে মো. ওয়ারেজ সিকদারকে, ডিবি-রমনা বিভাগের একটি টিম গোপীবাগ থেকে শহীদুল হক চৌধুরী রানাকে, ডিবি-উত্তরা বিভাগের একটি টিম কামারপাড়া থেকে মো. সিরাজুল ইসলাম বাবুকে এবং ডিবি সাইবার বিভাগের একটি টিম শনির আখড়া থেকে জাহিদুল ইসলাম তুষারকে গ্রেপ্তার করে।
এছাড়া, ভোরে উত্তরা পূর্ব থানার ১৮ নং সেক্টর থেকে মো. রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে এবং তারা সংঘবদ্ধ হয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছিলেন।